মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং
হযরত মুহাম্মদ (সা.) শীর্ষক

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

শরীয়তপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪২ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার ৩০ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান।

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক রনির সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন, শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।

১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্গুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সর্ব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

আলোচনা সভায় আরো বলা হয়, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশের ন্যায় ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সবশেষে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় রাসূল(সা.) কে যেন অনুসরন ও অনুকরণ করে চলতে পারি, সে বিষয়ে দোয়া হয়।


error: Content is protected !!