
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সমিতিরহাট আবা খালেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রায় আট লক্ষ্য টাকার ১২টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। তবে নৈশ্য প্রহরী থাকার পরেও এ চুরির ঘটনা রহস্য জনক বলে ধারনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
অভিযোগ ও সরেজমিন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সমিতিরহাট আবা খালেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্পের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ে ১৭টি নতুন ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। ওই ল্যাপটপ গুলো প্রধান শিক্ষকের রুমে স্টিলের আলমারির মধ্যে রাখা হয়। আর তার পাসের রুমে নৈশ্য প্রহরী আঃ মান্নান রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু একটি চোরচক্র ওই ল্যাপটপ রাখার রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে আলমারিতে রাখা প্রায় আট লক্ষ্য টাকার ১২টি ল্যাপটপ নিয়ে যায় ওই চোরচক্র।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি বলেন, বিদ্যালয়ে পাহাড়াদার থাকার পরও এমন চুরি মেনে নেয়া যায় না। এটা একটি রহস্য জনক ঘটনা বলে মনে হয়।
নৈশ্য প্রহরী আঃ মান্নান বলেন, আমাকে রুমের ভীতরে আটকে রেখে চোরেরা ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বলেন, প্রশাসনের প্রতি আমাদের দাবী যাতে করে দ্রুত চোর সনাক্ত করে আমাদের ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। আমরা চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।