
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে এক মাদ্রাসাছাত্র। নিহত কিশোরের নাম ফারদিন আহমেদ ইয়াসিন মৃধা (১৪)। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইয়াসিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে। সে স্থানীয় গৈড্যা এমএস ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক পক্ষ হঠাৎ রামদা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় ইয়াসিন ছাড়াও ছাত্রদলের পন্নী কাজি, এনাম, সোহান, লিখন বেপারী ও মবিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ভেদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাকিম ও কনস্টেবল জাহিদও ছিলেন।
পরদিন ঈদের দিন ইয়াসিন অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ইয়াসিনের চাচা সিদ্দিক মৃধা দাবি করেন, “আমার ভাতিজা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম জানান, “ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”