
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন পূর্বপুনাইখার কান্দি ২ নং ওয়ার্ডে সরকারি খালের ওপর অবৈধ ভাবে সিরিয়াল ধরে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। খাল সরকারি কি না, জানেন না তহসিলদার।
৩০ জুন বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বপুনাইখার কান্দি ২ নং ওয়ার্ড সরকারি খালের উপর প্রায় ১৩/১৪ টি দোকান ঘর নির্মাণে ব্যাস্ত রয়েছে কাঠ মিস্ত্রিরা। খালের উপর কাঠের পাটাতন ও টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ করছে এসব দোকান ঘর।
সাংবাদিক দেখে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন দোকান মালিকগন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি বলেন, আমরা স্বাধীন ভাবে থাকতে চাই। আমরা জাজিরা বুধাইরহাটখোলা যেতে চাই না! তাই এখানে বাজার নির্মাণ করা হবে।
এলাকার যুবক রানা মাদবর (৩০) বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকেই জাজিরা বুধাইরহাটখোলা বাজারে ব্যবসা বানিজ্য করেন। তাদের বাজারের প্রতাপশালীরা মারধর করেন।
এই এলাকার নুরু সরদার নামে এক ব্যবসায়ীকে জাজিরা বুধাইরহাটখোলা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। প্রতাপশালীরা মারধর করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এবিষয়ে আপনি এলাকার টিপু মাদবরের সাথে কথা বলেন। সে এই নতুন বাজার ও দোকান নির্মান সম্পর্কে বলতে পারবে।
এলাকার বিত্তশালী টিপু মাদবর দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, জমি, খাল সব আমাদের। আমরা বাজার না, দোকান ঘর উঠিয়েছি। এব্যাপারে নড়িয়া ইউএনও’র সাথে কথা হয়েছে। জমির কাগজপত্র দিয়ে এসেছি।
রাজনগর ইউনিয়নের তহসিলদার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, খাল সরকারি না মালিকানা আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় সরকারি খাল। ইউএনও সাহেব এসে দোকান উঠিয়ে নিতে বলেছে। তারা দাবী করছে, তাদের নিজেস্ব সম্পত্তি। আমি জমির কাগজ-পত্র, খাজনা রশিদ নিয়ে আসতে বলেছি। তহসিলদার শাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, ইউএনও সাহেব সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে দেখবেন। খালের উপর দোকান হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির আল নাফিস দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন,কিছু দিন আগে ওই এলাকায় একটি মারামারির ঘটনায় গিয়ে খালের উপর দুটি দোকান ঘর হেলে থাকতে দেখে। তহসিলদারকে বলেছি,দোকান যাতে সোজা না হয়। আরো দোকান উঠেছে! তা আমার জানা নেই। আমি এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।