
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। চলমান প্রশাসনিক অচলাবস্থা ও নাগরিক সেবায় বিঘ্নের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, শিগগিরই নির্বাচনের জন্য ইসিকে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের সংশোধিত সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী মেয়রদের অপসারণের পর দুই সিটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কার্যকাল শেষ হওয়ায় নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বৈধ মেয়র ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর, গেজেট প্রকাশ হলেও এখনো শপথ অনুষ্ঠান হয়নি। এতে সমর্থকদের টানা আন্দোলনে নগর ভবনে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সরকার জানিয়েছে, রায়ের বাস্তবায়ন ও মেয়াদ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, কোন নির্বাচন আগে হবে তা নির্ধারণ সরকারের সিদ্ধান্ত। ইসি শুধু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে। এমন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পটভূমিতে সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।