
শরীয়তপুর পৌরসভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাইয়ের উদ্যোগে ‘মনোহর বাজার গো-হাট’ নামে বসেছে এই পশুর হাট।
ইউএনও মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে ঈদুল আজহা সামনে। তাই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পশুর হাট বসবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি হাটে নজরদারি রাখছি আমরা। হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে বেচাকেনা করতে পারেন সেজন্য আমাদের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ।’
সোমবার (০৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গরুর হাট পরিদর্শন করেন ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান, পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান, সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ভিডিপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে প্রতি সোমবার বসছে হাট। হাটে মাদারীপুর, চাঁদপুর জেলাসহ শরীয়তপুরের ছয় উপজেলা থেকে গরু আসে। করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাট বসায় উপকৃত হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছে হাট কর্তৃপক্ষ। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সহায়তা নেওয়া হয়েছে পুলিশ ও আনসার ভিডিপির সদস্যদের।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, ‘আমরা দেখছি প্রতিনিয়ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই সরকারি নিদর্শনা মোতাবেক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে খাদ্য সহায়তা।’
৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান বলেন, ‘সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। লকডাউনের শুরু থেকে আমরা মাঠে কাজ করছি। মানুষকে সচেতন করছি। করোনাভাইরাস রোধে সবসময় একসঙ্গে কাজ করে যাব আমরা।