
পূর্ব শক্রতার জের ধরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ শৌলা গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাতে এক কৃষকের কলাগাছ কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মনির মাদবর থানায় শাকিল মাদবর নামে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
কলা বাগানের মালিক কৃষক মনির মাদবর জানান, তিনি এ বছর এক বিঘারও বেশি জমি লিজে কলা চাষ করেন। ইতিমধ্যে ওই গাছে কলা ধরেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এবং জমির মালিকানা দাবি করে একই গ্রামের আফসার মাদবরের ছেলে শাকিল মাদবর তার সহযোগীরা শুক্রবার রাতে জমির ৪৯০ টি কলাগাছ কেটে ফেলেন। এ ঘটনা মনিরসহ অনেকে আন্দাজ করে বলছেন। তাদের অভিযোগ হলো, গতকাল শাকিলের হাতে ধারালো ছুড়ি দেখেছেন আর এতেই শাকিলকে সন্দেহ করে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। এতে ঐ বাগানের প্রায় ৫ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দক্ষিণ শৌলা গ্রামের নাজমা বেগম, ফারুক মাদবর, মো. জয়নাল, কাশেম মৃধা বলেন, যারা কাজটি করেছে তারা জঘন্য কাজ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
শাকিল মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শাকিলের চাচা ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আনসার মাদবর বলেন, এটা নিন্দনীয় কাজ করেছে। যে করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তবে শাকিল অত্যন্ত সহজ-সরল ভালো ছেলে। সে এই কাজ করতে পারে না। মনিরের বাগানের কতটি কলাগাছের ক্ষতি হয়েছে জিজ্ঞাসা করা হলে আনসার মাদবর বলেন, মোট ৮৯ টি কলাগাছ নষ্ট হয়েছে। বাগানের এ ক্ষতি যে করুক না কেন? এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ।
টাউন চিকন্দী ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুল বারিকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, চিকন্দির শৌলা এলাকায় একটি কলাবাগানের কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে এএসআই শরিফুল ইসলামকে পাঠাই। শরীফ ঘটনাস্থলে তদন্ত করে জানিয়েছে ৩৫ টি কলা গাছ কাটা ও আরও ২০ থেকে ২৫ টা অর্ধেক কাটা কলাগাছসহ আনুমানিক ৫৮ থেকে ৫৯টি কলাগাছ ক্ষতিগ্রস্থ পাওয়া যায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে মৌখিক অভিযোগের আলোকে শাকিল নামে একজনকে ধরে আনা হয়েছে। কিন্তু শাকিলের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী প্রমাণ এখনো আমরা পাইনি।