শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামি বাবু ফকির পালিয়ে গিয়ে শেষ রক্ষা হলো না।
কয়েক ঘন্টার ভেতর আবার তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার ২৮ এপ্রিল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব। এর আগে ভোর ৪টার দিকে ঢাকার টিকাটুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর পরকীয়ার ঘটনায়, স্ত্রী ভাতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে মেরে তার লাশ রাতের আঁধারে প্রেমিকের কাছে তুলে দেন মুন্নি বেগম। এরপর একটি পুকুর থেকে স্বামী মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই আলোড়নসৃষ্টিকারী মামলার সহযোগী আসামি ছিলো বাবু ফকির। সে সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়াচাঁন ফকিরের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাবু ফকির নামের ওই যুবক সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী মাদবর হত্যা মামলার আসামি। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাবু ফকির ও আরেক আসামি মুন্নি বেগমকে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় এজলাস কক্ষের বাইরে বেঞ্চে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশি পাহারায় বসেছিলেন বাবু ফকির। এরইমধ্য তিনি সুকৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাকে ধরতে অভিযানে নামে। শনিবার দিনগত রাত ৪টার দিকে ঢাকার টিকাটুলি থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ শুরু করে। পরে তাকে ঢাকার টিকাটুলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।