
স্বামী ও পিতা হাড়ানো নাজমা বেগম বলেন, কি করবো এখন আর। অনেকেরই বাড়ি চইলা গেছে। গড়িব মানুষ আমারা। আমি ও আমার মা পরের বাড়িতে কাজ কইরা খাইতাম। এখন সেই বাড়ি গুলা পদ্মায় লইয়া গেছে। এহন কাগো বাড়ি কাজ করুম। এহন আমাগো কোন রহমের ঘরে আমি আমার নানি ও মা কে নিয়া থাকি। আমাগোও ঘর নদীতে লইয়া যায় কিনা ডরাইছিলাম। এহন হুনলাম ড্রেজার আইছে। হয়তো আমার এহানেই থাকতে পারুম। নড়িয়ার পদ্মার ভাঙ্গন নদীর তীর ঘেষা ভাঙন মূখে থাকা নিজ ঘরে নাসিমা গতকাল বুধবার এ কথা গুলো বলেন।
নাসিমা বেগরমর ঘরে আশ্রয় নেয়া মনোয়ার বলেন, দেখতোছি আমাগো ভাইঙ্গা যাওয়া যায়গা জাইগ্গা ওঠবো কবে। পরের জায়গায় কয় দিন থাকবো। ড্রেজার কাজ করবে কবে। কচুরির ওখানে আমাদের ঘর ছিলো। শুনছি ড্রেজার আইছে, নদী ভাঙ্গন থামাইলে ভালো। আমরা চিন্তা করতাছি আমাগো জায়গা ফেরত পামু। বলেন কলুকাঠি মোল্লাবাড়ী ৬০ বছর বয়সী মনওয়ার বেগম। গতকাল বুধবার ভাঙ্গনের তীর ঘেষা নাজমা বেগমের ঘরটিতে বসে একথা বলেন। এরকম নাজমা, মনোয়ার সহ অনেকের আশা ড্রেজার আসছে নদী ভাঙ্গন রোধ হবে।
আমাগো কেদারপুর বা নড়িয়া পৌরসভার মধ্যে চর আছিলো না। কুন্ডেরচর, আত্রারচর, কাজ্জাইর চর ও কলমিরচর ওইগেুলোতো অনেক দুরে। এসব চর হলো ৫ কিঃ মিঃ দুরে। আমাদের এখানেতো চর নাই! মন্ত্রি বইলা গেছে চরে কেন বিল্ডিং করা হয়। আমরা তো সবাই সাবেক বাবদার ও আগের সময়রে মধ্যে বাড়ি করে থাকছি। এসব কথা বললেন, নদীর তীর ঘেষা ভাঙন এলাকার মূখে থাকা নিজ জায়গায় দাড়িয়ে এসব কথা বললেন আজগর আলী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার ১টি ড্রেজার পদ্মার ভাঙ্গন এলাকায় পৌছালেও গত ৩ দিনেও ড্রেজার দ্বারা কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৩ দিনেও ড্রেজার দ্বারা কার্যক্রম শুরু না করার প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্ধারিত স্থানে ড্রেজার চলুকারার কার্যক্রম চলাছে (আগামীকাল) বৃহসপতিবার ড্রেজারের দ্বারা খনন কাজ শুরু হবে। পাশাপশি জিও ব্যাগ দ্বারা ভাঙ্গনের কাজ নিয়ন্ত্র করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, জিও ব্যাগ দ্বারা ভাঙ্গন রক্ষার কাজ চলছে। গত ৩ দিন যাবত কোন বড় ধরনের ভাঙ্গন হয়নি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ |