Sunday 1st June 2025
Sunday 1st June 2025

শরীয়তপুরে নদীতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

শরীয়তপুরে নদীতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে নদীতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

দীর্ঘ সময় ধরে বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকিরের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। চারদিকে খোঁজা-খুঁজি করেও তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করে সে নদীতে গোসল করতে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদী থেকে রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের চর পালং গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বাক প্রতিবন্ধী রানা ফকির (২৩) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দনী গ্রামের জাকির হোসেন ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার চান্দনী গ্রামের রানা ফকির শরীয়তপুর পৌরসভার রুপনগর এলাকার সৃজনশীল বিদ্যা পীঠ স্কুলের পাশে দুলাল সরদারের বাড়িতে ভাড়া ফুফুর কাছে থাকতেন। জন্মগত ভাবে রানা বাক প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে রানাকে তার আত্মীয়-স্বজনরা দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারা ধারণা করে সে কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে গেছে। এরপর স্বজনরা বিষয়টি শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল চল পালং গ্রামের কীর্তিনাশা নদী থেকে সন্ধ্যা শোয়া ৬ টার দিকে রানা ফকিরকে উদ্ধার করে। পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম খান বলেন, খবর পেয়ে মাদারীপুর থেকে ডুবুরি দল এনে রানা ফকির নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, রানা ফকিরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।