
শরীয়তপুর জেলাও দায়রা জজ আদালতে আগুন-আগুন বলে চিৎকার! কালো ধোঁয়ায় ছেঁয়ে যায় পুরো আদালত প্রঙ্গণ। হুইসাল বাঁজিয়ে দুটি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে পানি নিভাতে। এসময় আদালতে আসা বিচার প্রার্থীদের ভেতর আতংক ছড়িয়ে পরে।
২ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিচ তলায় এই ঘটনা ঘটে। কোর্ট সংলগ্ন চায়ের দোকনদার সজল বলেন, শরীয়তপুর জজ কোর্টের নিচ তলায়,ইলেকট্রিক বোর্ডে বিদ্যুৎতিক তারে আগুন লাগার পরপরই রাস্তার পাশে ট্রান্সমিটার আগুন ধরে লাইন বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিদুৎ অফিসের লোক এসে ঠিক করে দেন। ফায়ার সার্ভিস এসেছিল,তাদের পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়নি।
দোকনদার সজল আরও জানান, জজ কোর্টের সামনে বিদ্যুৎ এর যে ট্রান্সমিটার রয়েছে। এই লাইনে ভোল্টেজ আপ-ডাউন করে। এতে করে এই ধরনের শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে।
জজ কোর্ট স্টাফ সূত্র জানান, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জজ কোর্টের নিচ তলায় সিড়ির নিচে বিদ্যুৎতিক মিটারে গতকালও একবার আগুন লেগেছিল। তখন অল্প পুড়েছিল। আজকে একটানা ২/৩ মিনিট আগুনে মিটারটি পুড়ে গেছে। পরে বিদুৎ অফিসের লোক এসে ঠিক করে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসেন,তবে তাদের পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয় নাই।
এই ঘটনায় শরীয়তপুর বিদুৎ সরবরাহ (ওজোপাডিক) এর জানতে চাইলে দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, বিদ্যুৎতিক শর্টসার্কিট মাধ্যমে আগুন লাগতে পারে। আমরা খবর পেয়ে লাইন বন্ধ করে দেই। তারপর আমরা গিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে আসি। সেখানে পিডাব্লুডির লোক ছিল।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স এর সাইফুল ইসলাম দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন,আমরা জজ কোর্টে আগুন লাগার ঘটনা শুনে দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি, জজ কোর্টের নিচ তলায় সিঁড়ি নিচে বিদ্যুৎ এর বোর্ডে সর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। এতে করে বোর্ডের মিটার,সুইজ পুড়ে গেছে। আমরা যাওয়ার আগেই বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে সব ঠিক করে ফেলেছেন।
এবিষয়ে শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো:হানিফ মিয়া দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, এরশাদের আমলের জজ কোর্ট ভবন। নিন্মমানের বিদুৎতিক তার দেয়ার কারণে জজ কোর্টে যে বিদ্যুৎ লাগে তার লোড এই তার নিতে পারে না। আগুন লাগার কারণ হিসাবে আমার কাছে তাই মনে হয়। খুব বড় আগুনের ঘটনা না ঘটলেও ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় চারপাশে। এসময় মানুষ আতংকিত হয়ে পরে। ধোয়ায় মানুষের নিঃস্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। সাময়িক সময়ের পর বিচার কার্যক্রম চলমান ছিল।