
শরীয়তপুরের সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুর্ব মাহমুদপুর গ্রামে সরকারি খাল দখল করে পাকা টয়লেট করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আলি হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে।
এই সরকারি জমি দখল নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যেমে মিমাংসার চেষ্টা ও চলে কিন্তু কোন মিমাংসায় আনতে পারে নাই, পরবর্তীতে গ্রামের সুবিধার্থে সরকারি খাল রক্ষা করতে পুর্ব মাহমুদপুর গ্রামের ৫০ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ১০নং মাহমুদপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের বি.আর.এস ৭৫৫২ নং দাগের ও আর.এস ৪৬৫৫ নং দাগে পুর্ব পশ্চিম হয়ে একটি খাল বয়ে গেছে। সেই খালের মুখ বন্ধ করে আলি হোসেন সরদার একটি পাকা টয়লেট ও গোসলখানা তৈরি করছে। এই খালের মুখ বন্ধ করায় ওই গ্রামের প্রায় ১২ একর জমির পানি আটকে পরে গেছে। জমির পানি না নামার কারনে কৃষকের ফসল পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং বর্ষা মৌসুমে পানি না ঢুকার কারনে ফসল ঘরে আনতে পারছে না।
গ্রামের কৃষকরা বাঁধা ও দিয়েছিল কিন্তু তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে জোড় পূর্বক খালের মুখ ভোরাট করে পাকা টয়লেট ও গোসলখানা নির্মান করছে।
এ বিষয়ে আলী হোসেন সরদার বলেন, আমি আমার নিজের জমির উপরে টয়লেট গোসল খানা নির্মান করছি সরকারি কোন জমি দখল করি নাই, যদি কোন সরকারি জমি দখল করে থাকি তাহলে সরকারি লোক এসে বলুক আমি জমি ছেড়ে দিব।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আবুল হাসেম তালুকদার বলেন, আমি ওই টয়লেট ও গোসলখানা জানি না উঠায় তাই নতুন করে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি, পরবর্তী আমরা মেপে দেখবো যদি সরকারি খালের মধ্যে পরে তাহলে উচ্ছেদ করবো।