
নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের মাঝে জরুরী ত্রাণ বিতরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪ টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস)। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক মজিবর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, খামার বাড়ীর উপপরিচালক মো. রিফাত উল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, সমাজ সেবার উপপরিচাল মো. কামাল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, ক্রিশ্চিয়ান এইড প্রতিনিধি, হেল্প এইড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিনিধি, হিউমিনিটি এন্ড ইনক্লুশন প্রতিনিধি।
এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, রিলিফ প্রদানে আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা আছে। নড়িয়ায় পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত গৃহহীন ও ভীটামাটি হার মানুদের চিহ্নিত করে প্রতি পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব।
ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জিআর ঢেউটিন ১০ হাজার ১৬২ বান্ডিল, গৃহনির্মাণ বাবদ ৩ কোটি ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা, জিআর ক্যাশ ৫ কোটি ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, জিআর চাল ৫ লক্ষ মেট্রিক টন চেয়ে চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছি। ইতিমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ৫ হাজার ২শ বান্ডিল ঢেউটিন এবং প্রতি বান্ডিল টিনের সাথে ৩ হাজার করে টাকা, জিআর ক্যাশ ৫০ লক্ষ টাকা ও জিআর চাল ২শ মেট্রিক টন চাউল ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ইস্যু করেছেন। ত্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য সুপারিশ পত্র প্রেরণ করেছি।
নদী ভাঙ্গনের চিত্র তুলে ধরে ভূমি মন্ত্রনালয়ের কাছে জমি বরাদ্দ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঘর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রলায় থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয় পুনস্থাপন, ব্যাংক ও এনজিওর কাছে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ঋণ সুবিধা, তীররক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ সহ ১০ বিষয়ে তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। অনেকে আছে সকল প্রকার সহায়তা পেয়েও কিছুই পায়নি বলে মিডিয়ায় বক্তব্য দিচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নড়িয়া উপজেলায় ২টি আশ্রয়ন প্রকল্প ও একটি গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসন ব্যবস্থা করা হবে।