
শরীয়তপুরে ৩১ অক্টোবর বুধবার সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত শরীয়তপুর সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বিজয় ফুল’ তৈরী, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, গল্প ও কবিতা রচনা, চলচ্চিত্র নির্মাণ, দলগত দেশাত্মবোধক গান ও জাতীয় সংগীতসহ মোট আটটি প্রতিযোগিতা হয়। এবং প্রতিযোগিতা শেষে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোতাকাব্বির আহমদ-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আ’লীগ শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুর রহমান শেখ, শরীয়তপুর সদর পৌরসভা মেয়র মো: রফিকূল ইসলাম কোতোয়াল ও শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো: মনোয়ার হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক প্রমূখ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয়ের ফুল তৈরী সহ ৮টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে। বুধবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর সরকারী কলেজে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শরীয়তপুর সরকারী কলেজের ৮টি কক্ষে ৩২ জন বিচারক প্রতিযোগিতা মূল্যায়ণ করেন। দুপুর ১২টার সময় শরীয়তপুর সরকারী কলেজের হলরুমে বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিজয়ের ফুল তৈরীসহ ৮টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় জেলার ৬টি উপজেলা থেকে ৩২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। ‘ক’ গ্রুপে ছিল প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রতিযোগী। তাদের জন্য নির্ধারিত গান ধনধান্যে পুস্পে ভার দেশাত্ববোধক গান, কবি শামসুস হক এর আমার পরিচয় কবিতা, ‘খ’ গ্রুপে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী প্রতিযোগীদের জন্য কবি কামাল চৌধুরীর টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কবিতা, একি অপরূপ রূপে মা তোমায় দেশাত্বকবোধক গান ও ‘গ’ গ্রুপে নবম থেকে দ্বদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রতিযোগীদের জন্য কবি নির্মলেন্দু গুন রচিত স্বাধীনতা কবিতা এবং ও আমার দেশের মাটি দেশাত্ববোধক গান।
এ ছাড়া সকল গ্রুপের জন্য ছিল বিজয়ের ফুল তৈরী, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয়, চলচিত্র নির্মাণ এবং দলগত জাতীয় সংগীত ও দেশাত্ববোধক গান প্রতিযোগিতা। যে সকল প্রতিযোগিরা চলচিত্র নির্মাণ করেছে তা আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। দেশাত্ববোধক গান, আজীয় সংগীত, একক অভিনয় ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ী বিভাগীয় পর্যায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে হবে। কবিতা, গল্প রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বিজয়ের ফুল তৈরীতে যারা প্রথম হয়েছে তারাও বিভাগীয় পর্যায় অংশগ্রহন করবে। তাদের স্ব-শরীরে বিভাগে যেতে হবে না।