
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় দুই প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আমীনুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ডামুড্যা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ৎ
মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবর, তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর ও স্থানীয় পূর্ব মাদারীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন।
থানায় অভিযোগের পর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা রাতে জুলহাস মাদবরকে আটক করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে জুলহাস মাদবরের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত জুলহাস মাদবরকে জামিন প্রদান করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, রুবেল মাদবর, তাঁর ভাই জুলহাস মাদবর ও ইমরান হোসেন ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ইমরান হোসেন সম্প্রতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্প থেকে ১০টি সেলাই মেশিন সরবরাহ করার কাজ নেন। ৯২ হাজার টাকার ওই প্রকল্পটির বিল উত্তোলন নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ডামুড্যা উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে রুবেল মাদবর, জুলহাস মাদবর ও ইমরান প্রকৌশলীদের কক্ষে যান। সেখানে তাঁরা বিলের চেকে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। মেশিন সরবরাহ ও বিতরণের পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র না থাকায় প্রকৌশলীরা বিলের চেকে সই করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন ওই তিন নেতা উপসহকারী প্রকৌশলী আমীনুর রহমান ও আবদুল মালেককে মারধর করেন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল মালেক বলেন, বিলের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাদের ত্রুটি সংশোধন করার জন্য বলেছি। কিন্তু তাঁরা কাগজপত্র ছাড়াই বিল দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমরা তা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মেরেছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের পরামর্শে মামলা করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল মাদবর বলেন, ‘কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরানের ঠিকাদারী কাজের বিল নিয়ে তালবাহানা করছিলো উপসহকারী প্রকৌশলী। তারা ইমরানের কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছে। বিষয়টি জানতে আমি তাদের কার্যালয়ে যাই। সেখানে তাদের সাথে একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। তবে আমরা কাউকে মারধর করিনি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর শরীয়তপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার ঘোষ বলেন, যাঁরা প্রকৌলশলীদের লাঞ্ছিত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’