শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াত-বিএনপির ২০ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে গোসাইরহাট থানা পুলিশ। এ মামলায় পলাতক রয়েছে ১১ বিএনপির নেতাকর্মী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪ টি ককটেল, ১ টি সরকারি ডেল ল্যাপটপ, নিজস্ব রিপোর্ট বই ও বিভিন্ন বই জব্দ করে পুলিশ।
গোসাইরহাট থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলা রোকন সদস্য ফজলুর হক, সামন্তসার ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামের আমীর নুরুজ্জামান, বাউতুল মালের দায়িত্ব প্রাপ্ত মাইন উদ্দিন মাদবর, কার্যকরী সদস্য ইমতিয়াজ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবুল কালামসহ ২০ জামাত কর্মীকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শরীয়তপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে গোসাইরহাট থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সামন্তসার ইউনিয়নের কবরস্থান নামক জায়গায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম হাওলাদারের বাড়িতে জামায়াত নেতা কর্মীদের গোপন বৈঠক চলছে। এমন খবরে গোসাইরহাট থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ২০ জনকে আটক করে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও ১১ জন পালিয়ে যায়। ৩১ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন গোসাইরহাট থানা পুলিশ।
গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, তারা আগামী মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা করতেছিলো, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোসাইরহাট থানা পুলিশ সামন্তসার অভিযান চালায়। এ সময় জামায়াত বিএনপির ২০ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় আজ দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।