
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া বাজারে ২০১৮ সালে কয়েকজন সুশিক্ষিত উদ্যোমী যুবক মিলে তাসলিমা নাসির স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। মাত্র এক বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০১৯ সালের ২৮ মে পর্যন্ত জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে তাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো- শরীয়তপুর বিজ্ঞান ও সাতিহ্য চর্চা কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত বিজ্ঞান প্রজেক্টে প্রথম স্থান, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলায় রচনা প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, উপস্থিত বক্তৃতায় দ্বিতীয় স্থান, পুষ্টি প্রথম আলো কর্তৃক আয়োজিত জেলা পর্যায়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র বিভাগে প্রথম স্থান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে প্রথম স্থান। শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃজেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৩টি প্রথম স্থান সহ মোট ২৫টি পুরস্কার অর্জন, শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত দেয়াল পত্রিকা লিখন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, পুষ্টি প্রথম আলো কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কুইজ প্রতিযোগিতায় সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে আবারও শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে প্রথম স্থান অর্জন। জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ৮টি ইভেন্টে প্রথম স্থান অর্জন। ইবনে তাসলিমা নাসির স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১৮ সালের পি.ই.সি এবং জে.এস.সি পরীক্ষার যারা বৃত্তি পেয়েছে তারা হলেন, আরিফুজ্জামান (সাধারণ বৃত্তি), ইফতি ইয়ারা ইমা (ট্যালেন্টপুল বৃত্তি) ও সাব্বির সিকদার (ট্যালেন্টপুল বৃত্তি)।
ইবনে তাসলিমা নাসির স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ সোহাগ বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাষ্টার্স করেছি। এরপর ঢাকার বিভিন্ন নামীদামী স্কুল এন্ড কলেজে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত শরীয়তপুরের ছেলে-মেয়ের জন্য ভালো মানের একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তা করেছি। সেই চিন্তা থেকে আমরা চার বন্ধু মিলে আংগারিয়া বাজারে ইবনে তাসলিমা নাসির স্কুল এ- কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এখানে বর্তমানে ২২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক, ৪ জন কর্মচারী ও প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২২ জন শিক্ষক মিলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক বছরের মাথায় আমরা ব্যপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও আমারা শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও বেশি অর্জন করে সুনামের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।