Monday 5th May 2025
Monday 5th May 2025

গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব

গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব
গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব

গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় নদীর মোহনায় অবস্থিত। এটি মুরাদপুর সৈকত নামেও পরিচিত। সমুদ্রসৈকতটিকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গা এই ঘোষণার আওতায় রয়েছে।

সৈকতটি এখনো সরকারী ভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেনি। তবে বর্তমানে প্রচন্ড মানুষের সমাগম হয়। যা স্থানীয় মানুষদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আগে সৈকতে বোট ভাড়া/গাড়ি পার্কিং এর কোন সু-ব্যবস্থা ছিল না।



সাম্প্রতিক কালে কতৃপক্ষ তা বেঁধে দিয়েছেন। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ না থাকায় রাতে সৈকতটি নিরাপদ নয়। প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে এটি অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এর একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, অন্যদিকে কেওড়া বন দেখা যায়। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়।


এই বন সমুদ্রের অনেকটা গভীর পর্যন্ত চলে গেছে।

সৈকত জুড়ে সবুজ গালিচার বিস্তীর্ণ ঘাস একে অন্যান্য সমুদ্র সৈকত থেকে করেছে অন্যন্য। এই সবুজের মাঝ দিয়েে এঁকে বেঁকে গেছে সরু নালা। নালাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে ভরে উঠে। পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালীর অনন্য অবস্থান দেখা যায় এই সমুদ্র সৈকতে। এই সৈকতটিতে আগে মানুষের সমাগম হতো না। কারণ এটির সম্পর্কে ওতো বেশি জানতো না।

বর্তমানে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে নির্ণয় করে এখানে আসা যাওয়া শুরু করেছে।

গুলিয়াখালী সিবিচ যাওয়ার উপযুক্ত সময়
বর্ষাকালে।

তবে বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময়ে ও যেতে পারেন কিন্তু সব থেকে বেশি সবুজের সমারহের চাদরে মোড়া সমুদ্র সৈকত দেখতে হলে বর্ষাকালে যাওয়াটা উত্তম।

যাতায়াত ব্যবস্থা: রাজধানীর ঢাকায়, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে। সীতাকুন্ডু বাজার সংলগ্ন ট্রেন জংশনে নামতে পারবেন।
সায়দাবাদ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামের গাড়িতে রওনা করে চট্টগ্রাম যাওয়ার পূর্বে ৩০ কিলোমিটার সীতাকুণ্ড নামক স্থান মে নামলেই হবে। সীতাকুন্ড বাজার সংলগ্ন স্থানেই বাস স্ট্যান্ড।

প্রতি রিকশায় রিজার্ভ মিলে ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন। সিএনজিতে গেলে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন।

এছাড়া চট্রগ্রামের অলংকার মোড় থেকেও বাসে করে সীতাকুণ্ড আসা যায়। চট্টগ্রাম থেকে ১৫০ টাকা ভাড়ায় বাসে যেতে পারেন সীতাকুন্ড বাজার সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড।

সীতাকুণ্ড এলাকায় থাকতে হলে, সীতাকুণ্ড বাজারে ছোট বড় থাকার জন্য আবাসিক হোটেল আছে। সীতাকুণ্ড বাজারে খাবারের রেস্টুরেন্ট গুলো চলনসই। প্রায় সকল প্রকারের খাবার পাওয়া যায়।

যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করবেন সন্ধ্যার আগেই যাতে আপনার আশ্রয়ের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেন।

এসব এলাকায় মশার উপদ্রব আছে। চট্টগ্রাম কিন্তু ম্যালেরিয়াপ্রবণ একটি এলাকা। সতর্কতার সহিত চলতে হবে।

এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক সব সময় কাজ করেনা।