
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে চলমান কূটনৈতিক তৎপরতার ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আজ ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই বার্তা তুলে ধরেন ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আলহামৌদি।
রাষ্ট্রদূত জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ইউএই সরকারের সঙ্গে বিশেষ দূতের নিবিড় যোগাযোগ এবং মন্ত্রী পর্যায়ের সফরগুলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বড় ভূমিকা রেখেছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা ছাড়াও বিনিয়োগ সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
বর্তমানে ইউএই দূতাবাস প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা প্রদান করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে, যা বাণিজ্যিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো—ইউএই মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা আবেদন পুনরায় চালু করেছে। ইতোমধ্যে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ৫০০ নিরাপত্তা কর্মীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০ জনের ভিসা খুব শিগগিরই অনুমোদনের অপেক্ষায়।
রাষ্ট্রদূত আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করা হবে এবং মানবিক ও সহানুভূতিমূলক বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবকেও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন।
দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আলোচনা এগোচ্ছে। এই মাসের শেষ দিকে ইউএই মন্ত্রিসভার একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।