
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে চার দশক ধরে চলছে দুই পক্ষের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘাত, যার মূল অস্ত্র হাতবোমা। গত ৫ এপ্রিলের ঘটনায় শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এবং বহু মানুষ আহত হয়। এই সংঘর্ষ নতুন নয়—১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতার মূল হোতা দুই স্থানীয় নেতা: কুদ্দুস ও জলিল। কুদ্দুস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা, অপরদিকে জলিল স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। দু’পক্ষের মাঝে জমি, নদী পথ, মাছ ধরা ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেছে অন্তত ৮ জনের, আহত হয়েছে সহস্রাধিক। হাত ও পা হারানো মানুষের সংখ্যাও শতাধিক।
স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসী নিজেরাই বোমা তৈরি করতে পারে, এমনকি মহিলারাও পাহারাদার হিসেবে জড়িত। বোমা তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ করে একটি নির্দিষ্ট চক্র। স্কুল, বাগান ও চরাঞ্চল বোমা তৈরির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করলেও রাজনৈতিক শেল্টারের কারণে অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে বারবার মুক্ত হয়ে আবারো সহিংসতায় জড়াচ্ছে।
এলাকাবাসীর একাংশ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়, কেউ বাড়ি বিক্রি করে পালাতে চান। স্থানীয়রা বলছেন, এ সহিংসতার মূল মদদদাতা প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্যদের ছত্রছায়ায় এই দমন-পীড়নের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।