
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়েরকৃত একাধিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বাড়ি-জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শিবচর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সুহাদা আক্তার।
রোববার (৪ মে) বিকেলে শিবচর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুহাদা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে সুহাদা আক্তার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিগত সরকারের আমলে আমি অনেক মিথ্যা ও গায়েবি মামলার শিকার হয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ভেবেছিলাম স্বস্তিতে থাকব। কিন্তু তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন।”
তিনি আরও বলেন, “২০০১ সালে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ২০০৩ সালে শিবচর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। এরপর মাদারীপুর জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০১৪ সালে শিবচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, যেখানে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। নির্বাচনের দিন দুপুরে আমাকে মারধর করে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”
সুহাদা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, “পরবর্তীতে গুয়াতলা এলাকায় আমার বাড়ি ও জমি দখল করে নেওয়া হয় এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মোট ১৪টি হয়রানিমূলক মামলায় আমাকে জড়ানো হয়। এর মধ্যে ৮টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও এখনো ৬টি মামলা চলমান রয়েছে। তারা মিয়া ফকিরের স্ত্রী ডালিয়া বেগম, তারা মিয়া ফকির ও আলমগীর সরদারসহ আরও অনেকে মিলে এসব মামলা করেছেন।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, এখন তারাই বিএনপিতে এসে আমার নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাঁদাবাজির মামলা করছে। অথচ এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রশাসনের কাছে আমি সঠিক তদন্ত করে আমাকে এই হয়রানি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবচর পৌরসভা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন নাহার বেগম, মহিলা দলের নেত্রী তাছলিমা আক্তার, সালমা আক্তারসহ উপজেলা ও পৌরসভার মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।