Tuesday 13th May 2025
Tuesday 13th May 2025

শরীয়তপুর পদ্মা ভাঙ্গন প্রটেকশন এলাকায় পূর্বের ন্যায় হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন

শরীয়তপুর পদ্মা ভাঙ্গন প্রটেকশন এলাকায় পূর্বের ন্যায় হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন
শরীয়তপুর পদ্মা ভাঙ্গন প্রটেকশন এলাকায় পূর্বের ন্যায় হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মুলফৎগঞ্জে পদ্মা নদীর ডানতীরে অবস্থিত পূর্বের ন্যায় “নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে”র চিকিৎসাসেবা মুলফৎগঞ্জের হাসপাতাল ভবনে সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় মুলফৎগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির আয়োজনে ২ ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

রবিবার ১৩ এপ্রিল স্থানীয় মুলফৎগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কে বণিক সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মি সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা দাবি জানান, নড়িয়া উপজেলা শহরে নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা চালু করলেও মুলফৎগঞ্জ হাসপাতালটিতে সরকারীভাবে প্রজ্ঞাপণ জারি করে আউটডোর ও ইনডোর চিকিৎসা সেবা চালু রাখতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন লাগাতার চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তারা ।

তাদের দাবি, পদ্মা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন চরআত্রা, নওপাড়া ও কাচিকাটাসহ ঘরিসার, ডিঙ্গামানিক, ভুমখাড়া ও কেদারপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতে সহজলভ্য হওয়ায় মুলগঞ্জে হাসপাতাল রেখে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন। নদীর তীরবর্তি চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই হাসপাতালের কোন বিকল্প নেই

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্য কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিহির চক্রবর্তি, মুলফৎগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি এলাম বক্স লসকর, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বেপারী, মোঃ ইয়ারবক্স লসকর, সোহেল দেওয়ান, রাজ্জাক ছৈয়াল, মোঁ লুৎফুল্লাহ রহিত। আব্দুল মান্নান খান মুন্নী খান স্থানীয় গণ্যমান্য অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসময় একাত্বতা জানিয়ে মুলফৎগঞ্জ মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও মানব বন্ধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নতুন মুল হাসপাতাল ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হলে পুরাতন ভবন ও ডাক্তার কোয়াটারে চিকিৎসা সেবা চালু রাখা হয়। পরবর্তিতে নড়িয়া উপজেলা শহরে নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মান করা হয়। নতুন হাসপাতাল চালু এবং পুরাতন মুলফৎগঞ্জে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেদাপুর বাসীর পক্ষে এ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে গত একবছর আগে উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন করেন। উক্ত রিট পিটিশন আবেদন আমলে নিয়ে ২ দফায় ১ বছরের স্থগীত আদেশ দেন আদালত। ফলে নতুন হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ রয়েছে। এবং পুরাতন হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা চালু থাকে।