
পদ্মা সেতুর ষষ্ঠ স্প্যানটি দুই একদিনের মধ্যে বসানো হবে। মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ষষ্ঠ স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা নেওয়া হচ্ছে ষষ্ঠ স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৬এফ। স্প্যানটি পদ্মার মাঝ পথে আছে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, জাজিরায় পৌঁছানোর পর ষষ্ঠ স্প্যানটি ৩৭ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হবে। স্প্যানটি শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে বসানো হলে জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকে এটিই হবে শেষ স্প্যান।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। জাজিরা নাওডোবা প্রান্তের ৭৩ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হবে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান এবং সবশেষ গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে। এ স্প্যানগুলো বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
ছয় মাস পর আরেকটি স্প্যান বসতে যাচ্ছে। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। ষষ্ঠ স্প্যান বসলে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৯০০ মিটার।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও স্প্যান প্রস্তুত করার কাজ বেশ দ্রুত চলছে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও পাঁচটি স্প্যানের ৯০ শতাংশ প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যে এসব স্প্যান প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই স্প্যানগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বসানো হবে। তবে আপাতত জাজিরা প্রান্ত থেকে স্প্যান বসানোর কাজ চলবে।