
শরীয়তপুরে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে একজন করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ঢাকা ও নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৬৯ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধর করোনা (কভিড-১৯) পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ২৬ এপ্রিল দুপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সী একজন ডামুড্যা পৌরসভা এলাকায় নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল নড়িয়া উপজেলায় ৯০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে শরীয়তপুরে করোনায় আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হলো।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ জানান, শরীয়তপুরে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে একজন করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । ঢাকা ও নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৬৯ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে এবং ১৪ দিন পার হওয়ায় ১২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলায় সর্বমোট হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৭৯৭ জন । এ পর্যন্ত প্রেরিত নমুনার প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৮৬ টির মধ্যে ৩৬৪ নেগেটিভ ও ২২টি পজেটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় বাকি ২০ জনের মধ্যে একজন কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্য ১৯ জনকে সংক্রমণ প্রতিরোধে নিজ বাড়িতে নিবিড় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, যেই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ এসেছে। স্বাসকষ্ট থাকায় তিনি ঢাকার আজগর আলী মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যায়। তখন সন্দেহ হলে চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায় । তার করোনা পজেটিভ আসে। তাই তার বাড়ি সহ আশেপাশের ১০টি বাড়ির ২০টি ঘরের নারী-পুরুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।