
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা (ভিজিটর) রাজিয়া ইয়াছমিন আবারও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জণ করেছেন। ১১ জুলাই শনিবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক সোহেল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাকদ অনল কুমার দে ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক ডা. জাকির হোসেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রাজিয়া ইয়াছমিন এর হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন। একই সময় রাজিয়া ইয়াছমিন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এর সম্মাননা স্মারক সনদপত্র গ্রহন করেন। এরপূর্বে ২০১৫ সালেও রাজিয়া ইয়াছমিন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যান পরিদর্শিকার গৌরব অর্জণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
১৯৯২ সালের ২১ জুন একই পদে যোগদান করেন রাজিয়া ইয়াছমিন। ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট থেকে সদর উপজেরার আংগারিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার স্বামী মজিবুর রহমান সোহেল শরীয়তপুর জজ আদালতের একজন আইনজীবী। ছেলে রাকিবুল ইসরাম একজন এমবিবিএস ডাক্তার। ৩৯ তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) এর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চাপাই নবাবগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। পুত্রবধু সাবরিনা সাত্তারও একজন এমবিবিএস ডাক্তার। মেয়ে সাবিকুন নাহার মিম জেড.এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এক কথায় রাজিয়া ইয়াছমিন একজন ভালো পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার পাশাপাশি ভালো গৃহিনী, মা ও স্ত্রী বটে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য এক শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। যেহেতু এই শত্রুকে দেখিনা তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেকে রক্ষা করে পরিবার, সমাজ ও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপশি আমাদের সাথে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। আমাদের স্বল্প আয়তনের দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প কিছুই নাই। আজ যে সকল কর্মী বা প্রতিষ্ঠান সেবা প্রদানের মাধ্যমে জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জন করেছে তাদের প্রতি অভিনন্দন। আশা করব সকল কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কৃর্তিত্বের গৌরব অর্জন করবে।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রাজিয়া ইয়াছমিন বলেন, আমি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করি। আমার কাছে যে সকল রোগীরা আসে সাধ্যের মধ্যে তাদের সেবা দিতে চেষ্টা করি। উর্ধ্বতন কর্তকর্তারা প্রতি মাসে আমার কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন। আমাকে সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি সঠিক ভাবে যাতে দায়িত্ব পালন করতে সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।