শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১৭ ও মৃত্যু ২ জন

শরীয়তপুরে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১৭ ও মৃত্যু ২ জন

শরীয়তপুরে নভেল করোনা ভাইরাস শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯১ জন। আর এ পর্যন্ত স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ৭৬১ জনকে সুস্থ ঘোষণা করেছে। নতুন করে নড়িয়া উপজেলার আরো ০২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা মোট ৯ জন। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন অফিসের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দা শাহিনুর নাজিয়া জানান, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে নড়িয়া উপজেলার দুইজন মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যুবরণকৃত নতুন ২ জন নড়িয়ার হলেও তারা গত ১৭ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০১ জন ও ঢাকা গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে ০১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস শুরু থেকে শরীয়তপুরে এই পর্যন্ত নতুন ৩৭ জনসহ মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯১ জন এবং নতুন ১৭ জনসহ এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৬১ জন। ২৩ জুলাই পর্যন্ত জেলায় আরো ৭০ টি নমুনাসহ মোট সন্দেহভাজন নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৬ হাজার ৩২০ টি এবং ফলাফল হাতে এসেছে নতুন ৭৭ জনসহ মোট ৬ হাজার ২১৫ জনের।

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত নতুন করে ১৪ জনসহ মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৫৪ জন, যার মধ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৫৭ জন। জাজিরা উপজেলায় ০৩ জনসহ মোট আক্রান্ত ১৩১ জন, যার মধ্যে ০৬ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছে ৯৪ জন। নড়িয়া উপজেলায় ১৩ জনসহ মোট আক্রান্ত ১৫৬ জন, যার মধ্যে মোট সুস্থ হয়েছে ১২১ জন। ভেদরগঞ্জে মোট আক্রান্ত ১২৪ জন, যার মধ্যে মোট সুস্থ হয়েছে ১০২ জন। এছাড়া ডামুড্যা উপজেলায় ০৬ জনসহ মোট ৯১ জন আক্রান্তের মধ্যে নতুন ০৪ জনসহ মোট ৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ০১ জনসহ মোট ১৩৫ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন নতুন ০৭ জনসহ মোট ১১৩ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলার নড়িয়া উপজেলায় ০৫ জন, জাজিরায় ০১ জন, ভেদরগঞ্জে ০২ জন ও ডামুড্যায় ০১ জনসহ মোট ০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলায় কোনো করোনা পরীক্ষার ল্যাব নেই। নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে প্রেরণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। যার কারণে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে মরণঘাতী এ ভাইরাস সম্পর্কে জানলেও বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।


error: Content is protected !!