
আগামী ১৫ আগস্ট শনিবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন এঁর ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
গৃহিত কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে- ১২ আগস্ট বুধবার সুবিধাজনক সময়ে শরীয়তপুর শিশু একাডেমিতে ক বিভাগে (৩য় হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত) ‘শৈশবে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে (নির্ধারিত শব্দসীমা: ৭০০ শব্দ) ও খ বিভাগে (৭ম হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে (নির্ধারিত শব্দসীমা: ১০০০ শব্দ) রচনা প্রতিযোগিতা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে- ক বিভাগে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত) জল রঙের মাধ্যমে ‘জাতীয় পতাকা’, খ বিভাগে (৫ম হতে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত) জল রঙের মাধ্যমে ‘আবহমান বাংলার বর্ষার দৃশ্য’ ও গ বিভাগে (৮ম হতে ১০ম শ্রেনি পর্যন্ত) জল রঙের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’ বিষয়ে অঙ্কন। একই দিনে সুবিধাজনক সময়ে শরীয়তপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি কার্যালয়ে ক বিভাগে (কেজি থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ) ‘আমার বঙ্গবন্ধু’, খ বিভাগে (৪র্থ হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত) ‘আমি মুজিব’ ও গ বিভাগে (৭ম হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত) ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা’ বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
১৪ আগস্ট শুক্রবার হতে ১৬ আগস্ট রবিবার পর্যন্ত জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে কালো কাপড়ের উপর সাদা হরফে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামসহ ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০, আমরা শোকাহত’ লেখা সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শণ।
১৫ আগস্ট শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি/বেসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতিয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা। এবং সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও মুক্তিযোদ্ধাদের কালোব্যাজ ধারণ। সকাল ৯ টায় কারোব্যাজ ধারণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন। সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ও দিনব্যাপী সকল সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র (কমিউনিটি ক্লিনিকসহ) রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন; বিনামূল্যে ব্লাড গ্রুপিং/ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান। বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট হতে ৭ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাগানিয়া সংগীত অনুষ্ঠান। সুবিধাজনক সময়ে সকল সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা। সুবিধাজনক সময়ে শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত, ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যাবহার করে হামদ-নাত, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল এবং জেলার ৪৫ টি মসজিদ/মাদ্রাসায় কোরআন খতম। সুবিধাজনক সময়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে/শিশু পরিবার প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে হামদ-নাত, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল এবং সরকারি/বেসরকারি এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ জেলার সকল মসজিদে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ মোনাজাত। সুবিধাজনক সময়ে পালং হরিসভা কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ জেলার সকল মন্দির/উপাসনালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনা। দিনব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে স্থাপিত বিলবোর্ড ও অন্যান্য বিলবোর্ডে ডিজিটাল বিলবোর্ড/ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড-এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু উক্তি ও জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি প্রচার।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ১৫ আগস্ট উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির প্রতিটি আয়োজনে সকলের উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে।