
শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচন-২০২০-এর চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক সাবেক পিপি প্রয়াত হাবিবুর রহমানের ছেলে এ্যাডভোকেট এপিপি পারভেজ রহমান জনকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ শুক্রবার রাতে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে পারভেজ রহমান জনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনে শরীয়তপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাত জন মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা হলেন- বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন কোতোয়াল, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এডভোকেট আলমগীর হোসেন মুন্সি, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এন জাহাঙ্গীর মৃধা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড়, আওয়ামীলীগ নেতা প্যানেল মেয়র মোঃ বাচ্চু বেপারী।
আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী পারভেজ রহমান জন হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদ জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি প্রয়াত হাবীবুর রহমানের ছেলে। তার পিতা ও চাচা মনির হোসেনকে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয়। তার পিতা হাবীবুর রহমান নিহত হওয়ার সময় আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন। আর তার চাচা মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সাম্পাদক। শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ প্রায়ত হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ ও স্থানীয় আ.লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের অভিযোগ ছিল। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর ১ আসনে আ.লীগের প্রার্থী ছিলেন জাজিরা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। তখন আওরঙ্গর পক্ষে অবস্থান নেন স্থানীয় আ.লীগের একটি পক্ষ। তখন এ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হত।
ওই নির্বাচনে জাজিরার কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত হয়। ৮ অক্টোবর সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের বিষয় নিয়ে ৫ অক্টোবর হাবীবুর রহমানের শহরের বাস ভবনে আ.লীগের প্রার্থীর পক্ষে সভা চলছিল। ওই সভায় হামলা চালায় আওরঙ্গ সমর্থকরা। সেখানে আওরঙ্গ সমর্থক একজন গুলিবিদ্ধ হন, এমন খবর ছড়িয়ে পরার এর কিছু সময় পরে ওই বাসভবনে পুনরায় হামলা করা হয়। তখন তার পিতা হাবীবুর রহমান ও তার চাচা মনির হোসেন মারা যান।দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ আটকে ছিলো আলোচিত ওই হত্যা মামলার বিচার কাজ। এ বছর প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই বছর সেই পরিবার থেকে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়া হয় প্রয়াত হাবিবুর রহমানের ছেলে এ্যাডভোকেজ পারভেজ রহমান জনকে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে জানান, দল থেকে সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রয়াত হাবিবুর রহমানের ছেলে পারভেজ রহমান জনকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত করেছে। আমরা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং নেতারা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
১৯৮৫ সালে শরীয়তপুর সদর পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা ৩৮৩৪২ জন ভোটার এ বছর ভোট প্রয়োগ করবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।