শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং
ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার

দিনের ফসলি জমি রাতে পুকুরে পরিনত !

দিনের ফসলি জমি রাতে পুকুরে পরিনত !

জমির পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছে না অসহায় কৃষকদের। এমন একজন ভুক্তভোগী সাজনপুরের ইয়াকুব খান। একটি প্রভাবশালী ভূমি দস্যুচক্র জোর করে কৃষকের ফসলি জমি রাতের আঁধারে পুকুরে পরিনত করছে। এভাবেই অনেক কৃষকের স্বপ্ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।

ষাটোর্ধ্ব স্থানীয় কৃষক ইয়াকুব খান জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর মৌজায় তার একখন্ড কৃষি জমি ছিল। এই জমিতে ধানসহ মৌসুমী ফসল উৎপাদন করে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। মহিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুন হাওলাদার ও তার ভাই নান্টু হাওলাদার মিলে কৃষকের সেই জমিটি পুকুর করার প্রস্তাব করে। কৃষক ইয়াকুব খান তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাতের আঁধারে জমিটি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে কেটে পুকুরে পরিনত করে। এক রাতেই কৃষক ইয়াকুবের স্বপ্ন চুরমার হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে।

কৃষক ইয়াকুব বলেন, বিকেলে দেখে গেলাম ফসলি জমি। সকালে এসে দেখি পুকুর। আমার সাথে প্রভাবশালী মহলটি খুব খারাপ করেছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এখন কি করব। তাদের মুখে খাবার দিব কোত্থেকে? আমি কি এর বিচার পাব না?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায়, বিকেলের আলোতে এখানে জমি ছিল। রাত হতেই ভ্যাকু মেশিন লাগিয়ে সারারাত জমি খনন করে। ভোরে দেখি ফসলি জমি পুকুরে পরিনত হয়ে গেছে।

এই বিষয়ে চেয়ারম্যান অরুন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব আসলে কি হয়েছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুষক ইয়াকুব খান আমার কাছে অভিযোগ করেছে পুকুর কাটার পরে। আজ সহকারি কমিশনার ভূমি সেখানে যাবে। সম্ভব হলে জমি ভড়াটের ব্যবস্থা করা হবে।


error: Content is protected !!