
শরীয়তপুরে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস -২০১৮ পালন করলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বুধবার বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলার ৬৭৩ টি শিক্ষা কেন্দ্রে, ১২টি দারুল আরকাম মাদরাসা, ২০ টি সাধারণ রিসোর্স সেন্টার, ৬ টি মডেল রিসোর্স সেন্টারে এবং জেলা অফিসে সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধমিত করে উত্তোলন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল শিক্ষা কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত জাতির পিতা ও তার পরিবারবর্গের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ, বিশেষ মুনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়। সকাল ৮টা থেকে জেলার ৭১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় হামদ-নাত প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া ৬টি উপজেলায় ৬টি মডেল রিসোর্স সেন্টারে সকাল ৯টায় কুরআন খতম, সকাল ১০ টায় থেকে হিফজ প্রতিযোগিতা, হামদ-নাত, গজল প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বুধবার (১৫ আগস্ট) থেকে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) জেলার ৬টি উপজেলায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রতিরোধ বিষয়ে আলেম ওলামা ও সর্বসাধারণের উপস্থিতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ আগস্ট সকাল ৯ টায় গোসাইরহাট ও বিকেল ৩ টার দিকে ডামুড্যা উপজেলায়, ১৬ আগস্ট সকাল ৯ টায় শরীয়তপুর সদর ও বিকেল ৩ টায় ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এবং ১৭ আগস্ট সকাল ৯ টায় নড়িয়া ও বিকেল ৩ টায় জাজিরা উপজেলায় ওই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. ইদ্রিছ বলেন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজকের এই দিনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীরভাবে স্মরণ করছি। ১৫ই আগস্ট শরীয়তপুর জেলার প্রতিটি উপজেলা, রিসোর্স সেন্টার, ইউনিয়নে জাতির পিতা ও তার পরিবারবর্গের রূহের মাগফেরাত কামনা করে কুরআন খতম, দোয়া, মিলাদ, বিশেষ মুনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, ১৫ই আগস্টের শাহাদাত বরণকারী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।