
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আ: খালেক পংখাদার (৫৫) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে রোববার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে খালেকের পরিবার ও রুদ্রকর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আ: খালেক পাংখাদারের মেয়ে রানু বেগম, সুমাইয়া আক্তার, ভাই মান্নান পাংখাদার, আব্দুল কাদের পাংখাদার, মেম্বর ইসমাইল মল্লিকসহ রুদ্রকর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ।
খালেক পাংখাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, বাবার দাতের ব্যথা হলে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে সন্ত্রাসী আলমগীর মাদবর (৪৫), আবু হালেম মাদবর (৪২), লাল চাঁন মাদবর (৪৫), মকবুল মাদবর (৪০), নজরুল খাঁ (৪৮), কামাল শেখ (৩৫), সাইদুল খাঁরা (৪৫) মিলে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ১১দিন পার হলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করতে পারে নি। বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
সুমাইয়া বলেন, আমার প্রতিবন্ধী বোন আছে, ভাই আছে। ওদের নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। আমরা কাকে বাবা বলে ডাকবো।
উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার দিকে পূর্ব সোনামুখি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শরীয়তপুর শহরে রওনা হয় সদর উপজেলার পূর্ব সোনামুখী গ্রামের গনি পাংখাদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আ: খালেক পাংখাদার। পথিমধ্যে পূর্ব সোনামুখি গ্রামের আইয়ুব আলী মাদবরের বাড়ি সামনের রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা খালেককে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পরের দিন খালেকের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে ১৩জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার আসামী কামাল শেখ (৩৫) কে আটক করে পুলিশ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |