বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান

শরীয়তপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান

শরীয়তপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রোববার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপন উপলক্ষে শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইদ্রিছ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাহবুর রহমান শেখ।
এছাড়াও সরকারের ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত মসজিদের ইমাম ও কেন্দ্র শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ জনগণের আত্মহুতি, সম্ভ্রম বিসর্জন, রক্তের বিনিময়ে আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দীর্ঘ ৪৮ বছর পর স্বাধীনতার সুফল এবং দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোন অপকৌশল বা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেন এই উন্নয়ন ম্লান করে দিতে না পারে আমাদের সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, বিশে^ এমন দেশ কমই আছে যে, নয় মাসের যুদ্ধে একটি সশস্ত্র শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালীর এই বিজয় ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাহবুর রহমান শেখ বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার স্বল্প মেয়াদে তিনি ইসলামের অনেক কাজ করেছেন। তার এই কাজ তাঁকে ইসলামের ইতিহাসে চির স্মরণীয় করে রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইদ্রিছ বলেন, স্বাধীনতার স্থাপতি বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পুরো জনশক্তি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করেছেন, পেনশন চালু করেছেন, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার কেন্দ্র ৪ গুণ বুদ্ধি করেছেন। ১০১০ টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, ৫৬০ টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠার কাজ হাতে নিয়েছেন।


error: Content is protected !!