
শরীয়তপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা মহাখালী, ঢাকা-১২১২ সহযোগিতা জাতীয় এ ওরিয়েন্টেশন সভা করা হয়।
ওরিয়েন্টেশন সভায় জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
জেলায় মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৮শ ৮৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট ১ হাজার ৬শ ৭৭ টি স্থানে এ ক্যাম্প বসবে। এতে ৩ হাজার ৩শ ৫৪জন হেলথ ওয়ার্কার ও ভলান্টিয়ার কাজ করবেন। স্বাস্থ্য সহকারি থাকবেন ২শ ৫৭ জন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান। ইপিআই সুপারেন্টেন্ডডেন্ট মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে প্রেজেক্টরের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন শরীয়তপুর সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডাঃ শাহিনুর নাজিয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউনেসেফ প্রতিনিধি ডাঃ এসএমও রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাংবাদিক আবুল হোসেন সরদার, শহীদুল ইসলাম পাইলট, রায়হান কবির সোহেল, রোকনুজ্জামান পারভেজ ও বিএম ইশ্রাফিল সহ জেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রিক ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকরা।
সভায় জানানো হয়, সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুরেও জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। এ জেলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানোর টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৬৮৪ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৩ হাজার ২০৩ জন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ দিনে স্থায়ী অস্থায়ী মিলে মোট ১ হাজার ৬৭৭ টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবী ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে নীল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ও ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙ্গের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।