
বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও প্রকৃতি-পরিবেশ সম্পর্কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিভাস আবৃত্তি সংসদ, শরীয়তপুর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর মহোদয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের প্রধান অতিথি এবং শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন, গোলাম হায়দার খান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেজাউল করিম ও শরীয়তপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মো. আলী হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিভাস আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, পরিবেশ বিজ্ঞানী ও আবৃত্তি শিল্পী-কবি মফিজুল ইসলাম।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক সুশীল চন্দ্র দেবনাথ প্রমূখ বক্তৃতা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কালেক্টরেট কেজি স্কুলের অধ্যক্ষ মুকুল চন্দ্র রায় এবং কার্তিকপুর কথাকলি সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি-আবৃত্তিকার আব্দুর রহমান মোল্যা রুদ্র, কবি গনেন কর্মকার এবং গঙ্গানগর সাহিত্য নিকেতনের কবি শফিক সান্তন, কবি রাম চন্দ্র সাহা, কবি আবু বকর সিদ্দিক মিলন ও কবি আশিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কবি মফিজুল ইসলাম প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে আলোড়িত করেন।
প্রধান অতিথি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসবে তারা বাংলাদেশের প্রকৃতিকে ভালোবাসবে। আমরা জানি, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের কতো অপরিহার্য। যদি প্রকৃতি আমাদের প্রতি বিমুখ হয় তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে এবং একে বাসযোগ্য করতে হলে আমাদের কি কি করা প্রয়োজন (?), প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। যত বেশি করে গাছ লাগানো যাবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে ততবেশি সমৃদ্ধ হবে। তাই আসুন, আমরা সকলে মিলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগাই’!
দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কলেজ পর্যায়ে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্র শাহাদাত হোসেন খান ও গোলাম হায়দার খান সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া যৌথভাবে প্রথম, গোলাম হায়দার খান সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী অর্পা ও শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী ঐশি বনিক যৌথভাবে দ্বিতীয় এবং শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী প্রীতি শীল ও গোলাম হায়দার খান সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী শারমিন যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার, হাই স্কুল পর্যায়ে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হাসিন প্রথম, শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিয়ন্তী অধিকারী ও পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সৌরভ যৌথভাবে দ্বিতীয়, শরীয়তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মীম তৃতীয় পুরস্কার এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু কানন কিন্ডার গার্টেনের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রথম, এসডিএস একাডেমির ছাত্রী শ্রেষ্ঠা পাল দ্বিতীয় ও একই প্রতিষ্ঠানের জাইমা নানজিবা তৃতীয় পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়া ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।