Sunday 11th May 2025
Sunday 11th May 2025

শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

“সমতা ও সংহতি নির্ভর সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা” এই শ্লোগানে শরীয়তপুরে বিশ^ স্বাস্থ্য দিবস পালন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার সহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
র‌্যালি শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাও মো. আব্দুল্লাহ, আরএমও ডা. শেখ মোস্তফা খোকন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আসমত আলী খান ও জেলা ব্রাক প্রতিনিধি জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রজাতন্ত্রের সংবিধান অনুযায়ী আমরা কেউ অফিসার না। আমরা সবাই কর্মচারী। আমরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করি এবং সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরি। সরকার সাধ্যমতো আমাদের দাবি দাওয়া পূরন করে। কিন্তু আমাদের কাছে সরকারের একটি চাওয়া রয়েছে। আর সেটা হলো আমরা যারা যে যে দায়িত্ব নিয়োজিত রয়েছি, আমরা যেন সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি।
চিকিৎসক এবং নার্সদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, রোগীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সেবা পেতে ডাক্তারের কাছে আছে। ডাক্তার এবং নার্সরা রোগীদের সাথে আন্তরিক ভালো ব্যবহার করলে রোগীর অধিকাংশ রোগ সেরে যায়। আর তারা যদি রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে রোগীর মানুষিক অবস্থা খারাপ হয়। ফলে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সেবা দিতে হবে। সেবা পাওয়া রোগীর অধিকার। রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্যই কিন্তু সরকার ডাক্তার এবং নার্সদের নিয়োগ করেছে। রোগীদের সাথে কখনও খারাপ আচরণ করা যাবে না।
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, অনেক বেসকারী হাসপাতালের পরিবেশ এতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন যে হাসপাতাল থেকে সুভাশ বের হয়। আর সরকারী হাসপাতালে একজন সুস্থ মানুষ ঢুকলে দূর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে যায়। হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছনার উপর আমাদের নজর দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে একটি হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন কিছু নয়।