Sunday 11th May 2025
Sunday 11th May 2025

ঝড় বৃষ্টির আশংকা দেখা দিলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শরীয়তপুর

ঝড় বৃষ্টির আশংকা দেখা দিলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শরীয়তপুর
ঝড় বৃষ্টির আশংকা দেখা দিলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শরীয়তপুর

সামন্য ঝড়-বৃষ্টির আশংকা দেখা দিলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো শরীয়তপুর জেলা। এমনকি জেলা শহরেও বিদ্যুৎ থাকে না। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ফিরে আসতে পার হয়ে যায় প্রায় ১৫ থেকে ২৪ ঘন্টা। এতে বিপাকে পড়তে হয় মানুষের। বিদ্যুৎ বিহীন অফিস কলকারখানার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ঘটে মারাত্মক বিঘœ। বিদ্যুৎ ছাড়া হাসফাস করতে থাকে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ঝড় বৃষ্টিতে দূর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শুধু আকাশে মেঘের ডাকাডাকির শব্দ শুরু হওয়ার পরই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর প্রায় ১৫ ঘন্টা পর রোববার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা চলা অবস্থায় ঘন ঘন বৃষ্টি ও বিদ্যুৎ না থাকায় পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে পরীক্ষার্থীদের। তারা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
শরীয়তপুরের এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহেদ, সুজন, রাসেল সহ অনেকে বলেন, সামন্য বৃষ্টি হলেও শরীয়তপুর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ১০-২০ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলে আমাদের লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটে। আমরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারিনা। এতে আমাদের পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীল লোকজন আরও বেশি দায়িত্বশীল ও তৎপর হলে এতো দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিহীন শরীয়তপুরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
সালাউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই যদি এতো দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে তাহলে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার কি হবে? এক দিকে গরম অপর দিকে মশার উপদ্রব। বিদ্যুৎ ছাড়াতো ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ায় বসে না।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী মোল্যা বলেন, ঝড় বৃষ্টি হলে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা, পুল ও বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকে। যে কোন দূর্ঘটনা এড়াতে ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর ঝড়ের পর বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা মেরামত না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়না। এছাড়া অনেক সময় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিলে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর গ্রিড কন্ট্রোল রুম থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর গোড়ার থেকে যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে আগারটা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।