Sunday 11th May 2025
Sunday 11th May 2025

ডামুড্যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী কালুর জীবন বদলে দিলো আশ্রয়ণের ঘর

ডামুড্যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী কালুর জীবন বদলে দিলো আশ্রয়ণের ঘর
ডামুড্যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী কালুর জীবন বদলে দিলো আশ্রয়ণের ঘর

সোনালী সেতুর শ্যামল ভূমি খ্যাত শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দরিদ্র কালু খানের জীবন গল্পটা ছিল আশ্রয়হীন, সহায়হীন,অবহেলিত আর দশজনের মতই। কালু ডামুড্যা পৌরসভার একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে জীবন যাপন করছিলেন। যা আয় করতেন তা দিয়ে দুই সন্তানসহ স্বামী স্ত্রীর খাবার যোগার ও বাসা ভাড়া দিতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন কালু।

স্বপ্ন দেখতেন, যদি নিজের একটা ঘর হতো তাহলে জীবনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে পারতেন। এমন সময় সারা দেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গৃহহীন ভূমিহীন মানুষকে পূনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর কার্যক্রম শুরু হয়।

এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন এর চরভয়রা গ্রামে আশ্রয়হীন কালু খানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনন্য উপহার মুজিববর্ষের ঘর উপহার দেয়া হয়। এ জেনো কালুর আজীবন লালিত স্বপ্ন মাথা গোজার ঠাই নিজের একটি ঘর। মুজিববর্ষের ঘর নিবাসী কালু খানের ভাগ্য বদলানোর গল্পটার শুরু এখান থেকেই। এরপর থেকে কালু খানকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।নিজ উদ্যোগে শুরু করেন কবুতর পালন।

দুই জোড়া কবুতর দিয়ে শুরু করা কালুর এখন ৪০ জোড়া কবুতর। কালুর স্ত্রীও বসে নেই। তিনি আশ্রয়ণের বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ,বেগুন,ডাটাসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করছেন।যা তাদের পরিবারের সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে। মুরগির লালন পালন করছেন।ছাগল রয়েছে দুইটি,গরু কেনার লক্ষ্যে টাকা জমাচ্ছেন।আগে যে টাকায় বাসা ভাড়া দিতেন তার সাথে কিছু টাকা যোগ করে এখন প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন কালু।দুই সন্তানকে দিয়েছেন স্কুলে। এখন সহায় সম্বলহীন কালু এখন আত্মবিশ্বাসী ও আত্নপ্রত্যয়ী। পাল্টে যাওয়া জীবনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান কালু। কৃতজ্ঞতায় চোখ ঝাপসা হয়ে আসে কালুর স্ত্রীর। স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের মুখে দুই বেলা খাবার তুলে দিতে পারছে,পোষাক দিতে পারছে,ঝড় বাদলের দিনে মাথার উপর ছাদ আছে এটাও কম কি।