
বিশ্বের সেরা হার্ট সার্জন ডা. দেবী শেঠি সাফ জানিয়ে দিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: বিএসএমএমইউতে ওবায়দুল কাদেরের বিশ্বমানের চিকিৎসা হয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকাতেও এর চেয়ে বেশি চিকিৎসা হতো না। কাদেরের স্ত্রীর উদ্দেশ্যে গর্ব ও আত্ম বিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউ আর ভেরি লাকি। তার সব চিকিৎসাই এখানে দেয়া হয়েছে।
সোজা কথায় বিএসএমএমইউর চিকিৎসা মান ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের কোন দেশের তুলনায় কম নয়। দেবী শেঠির এই কথা বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের চিকিৎসার গৌরবজনক আত্ম শ্লাঘার পরম পরিচয়। বাংলাদেশ বা বিএসএমএমইউ কেবল পিছিয়ে মেডিকেল ইক্যুপমেন্টে।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএসএমএমইউতে কাদেরকে দেখতে গিয়ে কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদেরের সঙ্গে দেবীর দেখা। তার উদ্দেশ্যে গর্ব ও আত্ম বিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউ আর ভেরি লাকি। তার সব চিকিৎসাই এখানে দেয়া হয়েছে।
৪ মার্চ বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে দেখার পর ডা. শেঠী এ মন্তব্য করেন বলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান।
তিনি বলেন, শুরুতে ডা. দেবী শেঠী সেতুমন্ত্রীর করা সব রিপোর্ট দেখেন। এনজিওগ্রাম দেখার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরে তিনি (ডা. শেঠী) বলেন, তার যা চিকিৎসা প্রয়োজন সবটাই করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি চিকিৎসা ইউরোপ-আমেরিকাতেও হয় না। এখন চাইলে আপনারা তাকে শিফট করতে (দেশের বাইরে) পারেন।
ইশরাতুন্নেসা কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ডা. শেঠী বলেন, ‘ইউ আর ভেরি লাকি যে তার চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয় তার সবই এখানে করা হয়েছে। এখন আপনারা যে কোনো সময় তাকে দেশের বাইরে নিতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএসএমএমইউ-এর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে ওবায়দুল কাদেরের রক্তচাপ ১১০ থেকে ১৭০ বিপিএম এর মধ্যে ছিল। তবে রক্তের পিএইচ ওঠানামার মধ্যে ছিল সেটাও স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তে সুগারের পরিমাণ ২৬ ছিল, সেটাও ইনসুলিনের মাধ্যমে কমানো হয়েছে। তবে ভেন্টিলেশন এখনও খোলা যাবে না। কেননা তিনি সিওপিডি রোগী। যারা ধুমপান করে তারা সাধারণত সিওপিডি রোগী হয়। তাই এটা খুলতে আরো সময় লাগবে।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা ভালো হচ্ছে তা ডা. দেবী শেঠীও বলেছেন। তবে সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে দেবী শেঠীকে নিয়ে আসার একটি একটি নির্দেশনা ছিল। যে কারণে তিনি এসেছেন। তিনি নিজেই একটি নিজস্ব প্লেনে করে চলে আসেন। তিনি পৌনে একটার দিকে বাংলাদেশে পৌঁছান। এরপর হাসপাতালে এসে তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত মেডিকেল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াকিবহাল চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশী মিডিয়া ও নিন্দুকদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে পাঠানো হল কেন। সিঙ্গাপুরের চেয়ে ঢাকায় খামতি কোথায়! উত্তর সহজ, খামতি ইক্যুপমেন্টে। সেজন্য আমাদের ছুতো নাতায় সিঙ্গাপুর ছুটতে হয়। ডাক্তার আছে বিশ্বমানের; কিন্তু যন্ত্রপাতি মান্ধাতার। এ খামতি পূরণের দায় সরকারের।