
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পান্না বেগম (৪৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে টেনে হিঁচরে গায়ের কাপড় খুলে মারধর করে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে নড়িয়া থানায় পান্না বেগমের ছেলে ফয়সাল বেপারী বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সুজাবাদ সিঙ্গলমুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সামছুল বেপারী (৩৭), আলাল উদ্দিন বেপারী (৪০) ও সাগর হোসেন (২০) নামে তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পান্না বেগমের স্বামী প্রবাসী সিরাজ বেপারীর সঙ্গে প্রতিবেশি মইজদ্দিন বেপারীর ছেলে মালেক বেপারীর দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৩ আগস্ট স্থানীয় সালিশগন জমির কাগজপত্র সঠিক বলে ওই জমি প্রবাসী সিরাজ বেপারীর পক্ষে রায় দিয়ে সিমানা নির্ধারণ করে বেড়া দিয়ে দেন।
সেই ক্ষোভে বুধবার (২৯ আগস্ট) সকালে প্রতিপক্ষ মালেক বেপারী, সামচুল বেপারী, আলাল বেপারী, সাগর হোসেন, মনির হোসেন, মিতু বেগম, মৌসুমী, রুমা, কুসুম সামিয়াগংরা সিমানার বেড়া ভেঙে দিয়ে সিরাজ বেপারীর ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী পান্না বেগমকে টেনে হিঁচরে গায়ের কাপড় খুলে নিয়ে মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা পান্নাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আশংকাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
পান্না বেগমের ছেলে ফয়সাল বেপারী বলেন, ১৫ বছর যাবত আমাদের সাথে ৩৬ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব মালেক বেপারীগংদের সঙ্গে। জমির কাগজপত্র মুলে সেই জমি আমরা পেয়েছি। জমি আমরা পেলাম কেন? তাই আমার মাকে মারধর করেছে ওরা। মা’র অবস্থা তেমন ভালো না। আমার মায়ের হামলাকরীদের বিচার চাই।
সুরেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন আল মাসুম বলেন, পান্না বেগমকে মারধরের ঘটনা শুনে নড়িয়া থানা পুলিশ নিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করে নড়িয়া থানায় সপর্দ করি।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার রুজু করা হচ্ছে।