
অবিলম্বে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনাসহ ১৪ দফা দবি বাস্তবায়নের কথা আবারো তুলেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিএমএসএফ জেলা কাউন্সিল-২০১৯ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনি বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট বলেন, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন সহ সরকারের সকল কাজের গুরুত্ব বিষয় তুলে ধরেন মফস্বলে থাকা সাংবাদিকরা।
এছাড়া সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন গুলোতেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন এরা। এই সাংবাদিকদের দেশ ও জাতির আয়নাও বলা হয়ে থাকে। অথচ এই সাংবাদিক সবচেয়ে বেশী নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার হয়েও আজো তারা সবচেয়ে বেশী অবহেলিত। সরকারের তথ্যমন্ত্রনালয়, তথ্য অধিদপ্তর, প্রেস কাউন্সিল থাকার পরেও মফস্বলের সাংবাদিকদের কোনো কাজে আসছেনা। যার প্রমাণ হিসেবে বলেন সাংবাদিকদের তালিকাটুকুও করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমান সরকারের প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক বান্ধব। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রনয়ন করে সাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবী মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব কালি রঞ্জন বর্মন। এ সময় অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে একমত পোশন করে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, স্বাধীণতার ৪৭ বছরেও সরকার সাংবাদিকদের তালিকা করতে ব্যর্থ। মফস্বল সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলেই ১৪ দফা দাবি আদায় সম্ভব। এদিকে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ২১টি পদের বিপরীতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা তথ্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো: সাঈদ হাসান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন এবং এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু কমিশনের দায়িত্বে ভোট গ্রহণ করেন। নির্বাচনে ৫৬ ভোট পেয়ে কেএম রুবেল সভাপতি নিবাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিজান উল্লাহ তিনি পেয়েছেন ১৩ ভোট। সহ-সভাপতি পদে খলিলুর রহমান ও কামাল উদ্দিন যথাক্রমে ৪৩ ভোট ও লায়ণ নবাব হোসেন মুন্না ২৩ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবু সাহিদ পেয়েছেন ৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিন্নাত আলী পেয়েছেন ১৮ ভোট। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে জুুনায়েদ হোসেন ৫৩ ভোট ও মো: হোসেন ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রেজাউল করিম রাজু ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধী মনজুরুল আলম ৯ ভোট পেয়েছেন। অর্থ সম্পাদক পদে আবদুল কাদের রাজু ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদুল হাসান রাকিব ২৭ ভোট পেয়েছেন। প্রচার সম্পাদক পদে মো: আলমগীর হোসেন ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হায়দার আলী ৩৩ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে মো: আশরাফ ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রার্থী এমরান হোসেন সুজন পেয়েছেন ১৮ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো: হাফিজ উদ্দিন ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী পেয়েছেন ২৬ ভোট। এছাড়া আরো ১০জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর চট্টগ্রাম জেলা আহবায়ক কেএম রুবেলের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্যসচিব কাওসার ইকবাল চৌধুরী, ফেনী জেলা কমিটির সভাপতি জসিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী সালাউদ্দিন নোমান, ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর তালুকদার প্রমুখ।
দিনব্যাপী নির্বাচন, আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।