
রীয়তপুরে মটর সাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় এক মহিলা পাগল গুরুতর আহত হয়েছে। গত ২০ আগস্ট রাত সাতটার দিকে আংগারিয়া বাইপাস সড়কে মোল্লা বাড়ির সামনে মটর সাইকেল সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে।
পালং উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কাশাভোগ গ্রামে বসবাসরত মন্নান বেপারীর ছেলে শাহীন বেপারী (২৬) মটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে আংগারিয়া বাইপাস সড়কে মোল্লা বাড়ির সামনে অজ্ঞাত এক মহিলা পাগলের সাথে মটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। শাহীন বেপারী মটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় এবং অজ্ঞাত পাগল মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয় এবং মটর সাইকেল চালক শাহীন বেপারীও আহত হয়। আহত শাহীন বেপারী মানবিক দিক বিবেচনা করে আহত মহিলা পাগলকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অজ্ঞাত মহিলা পাগলের সড়ক দূর্ঘটনার কথা শুনে আংগারিয়া ফারির আই সি মিন্টু বৈদ্য এবং এটি এস আই সালাউদ্দিন ও পালং থানার কর্তব্যপরায়ন, সৎ, কর্মনিষ্ঠ, চৌকশ এস আই আতিয়ার রহমান তার ফোর্স নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দ্রুত চলে আসেন। মটর সাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত পাগল মহিলার বাম পায়ের হাটুর নিচের অংশ মাঝ বরাবর পুরোপুরি ভেঙ্গে যায় এবং মাথার চামড়া কেটে রক্ত বের হয়।
আংগারিয়া ফারির আই সি মিন্টু বৈদ্য এবং পালং থানার এস আই আতিয়ার রহমান এর উপস্থিতিতে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত পাগল মহিলাকে ভালভাবে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এস আই আতিয়ার রহমান জনসম্মুখে আহত পাগল মহিলার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। এস আই আতিয়ার রহমান আহত পাগল মহিলার জন্য পালং বাজার থেকে তিন সুট নতুন জামা কাপড় কিনে আনেন। আহত মটর সাইকেল চালক শাহীন বেপারীর পক্ষ থেকে তার আতœীয়-স্বজন আহত পাগল মহিলার সেবা যতœ করার জন্য সদর হাসপাতালে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত আছে।
এস আই আতিয়ার রহমান সাক্ষাৎকারে বলেন, অসহায় আহত পাগল মহিলার আপন বলতে এই দুনিয়াতে কেউ নাই আর এই কারনেই আমি আমার বিবেকের তারনায় এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়িয়েছি এবং তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করা লাগলে তাও নিবো আর আপনারা সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।