
শরীয়তপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ দীর্ঘমেয়াদী করতাদা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা পেলেন নড়িয়া উপজেলার বিঝাড়ী ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন মোল্লার একমাত্র সন্তান ও শরীয়তপুর বিসমিল্লাহ্ ইলেকট্রনিক্স(ওয়ালটন)-এর স্বত্বাধিকারী, সৎ এবং সফল ব্যবসায়ী মাহবুব রশিদ রিপন মোল্লা। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শরীয়তপুর বিসমিল্লাহ্ ইলেকট্রনিক্স(ওয়ালটন)-এর স্বত্বাধিকারী, সৎ এবং সফল ব্যবসায়ী মাহবুব রশিদ রিপন মোল্লাকে। গত ৫-ই নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে সারা দেশের মধ্যে ১৪৭ জন দীর্ঘমেয়াদী করদাতাসহ সেরা করদাতা হিসেবে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এবার ট্যাক্স কার্ড দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ট্যাক্স কার্ড পাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন ৭৪ জন এবং বাকিগুলো প্রতিষ্ঠান। এবার ব্যক্তি পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ড দিতে ‘বিশেষ শ্রেণি’ এবং ‘আয়ের উৎস বা পেশা’ নামের দুটি শ্রেণি করা হয়েছে। বিশেষ শ্রেণির মধ্যে রয়েছে সিনিয়র সিটিজেন, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নারী এবং তরুণ। আয়ের উৎস বা পেশার মধ্যে রয়েছে ১৩টি শ্রেণি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৭টি কোম্পানি।
অর্থমন্ত্রী এ সময় বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ২০টি দেশের মধ্যে থাকবো। ২০৩০ সালে আমরা তাইওয়ানকে অর্থনীতিতে পেছনে ফেলে এশিয়ার পঞ্চম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হব। তখন আমাদের অর্থনীতির আয়তন হবে ওয়ান ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে। এ কাজগুলো করবো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রমূখ। এবার ৩৬টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী মাহবুব রশিদ রিপন মোল্লা ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি তার আগ্রহ ও মনোযোগ ছিল বেশি। মাহবুব রশিদ রিপন মোল্লা ১৯৭০ সালের ৬-ই মার্চ নড়িয়া উপজেলার বিঝাড়ী ইউনিয়নের কান্দিগাও গ্রামের মোল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা আনয়নে দীর্ঘ ১০ বছর বিদেশে চাকরি করেন। ২০০৩ সালে বিদেশ থেকে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেন। ২০০৫ সাল থেকে আয়কর দেয়া শুরু করেন। বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের সাথে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয়কাজে সবসময় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয়কাজের উন্নয়নের জন্য কর ছাড়াও যে কোনভাবে উন্নয়ন কাজে জড়িত রয়েছেন।