
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিস্তব্ধ ও অচল করে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। তারই ছোবলে আজ আতঙ্কে গৃহবন্দি বাংলাদেশের মানুষ। ইট পাথরের বৃহদাকার হাসপাতাল গুলোতে ভয়ে তেমন রোগী আসছে না। ফোন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। সবকিছুই যেন প্রাণহীন। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত দিন ডামুড্যা উপজেলাকে করোনা মুক্ত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন। প্রতিদিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন মানুষের চিকিৎসা সেবা ও করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে। হাসপাতাল এবং কোয়ার্টারে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন রাত কাটছে ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন এর। এ পর্যন্ত ডামুড্যা উপজেলায় ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন এর নেতৃত্বে গঠিত হটলাইনে (০১৭১১২০৯২৪৩) এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে যারা হাসপাতালে আসতে পারছেন না তাদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
শরীয়তপুর জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ও ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন বলেন, এটা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব। বলা যায় এটা নতুন প্রজন্মের আর একটা মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধ একটা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যা খালি চোখে দেখা যায় না। একটা অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ। তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধে আমাদের কমান্ডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই যুদ্ধে আমাদের সহযোদ্ধা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক এবং দেশের প্রতিটা সচেতন নাগরিক। আমরা সবাই দেশের জন্য যুদ্ধ করছি এবং যুদ্ধ করে যাব শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। শুধু মানুষের কাছে আহ্বান আপনারা ঘরে থাকুন, সকল বিধি-নিষেধ গুলো মেনে চলুন। এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব ইনশাআল্লাহ। আমরা কেউ বসে নেই। দেশের মানুষকে অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
এই নিয়ে ডামুড্যা উপজেলায় ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। ৪০ টি পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ৩৭ টি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বাকি ৩ টি রিপোর্ট পজেটিভ। আক্রান্ত রোগী ৩ একই পরিবারের। তাই বলছি ডামুড্যাবাসি এখনও সচেতন হোন নিজে ভালো থাকুন, আর সবাইকে ভালো রাখুন।