
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চররোসুন্ধি গ্রামে জমি ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এক বৃদ্ধ কৃষকসহ তার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় সদর উপজেলা যুবদল নেতা ও তার সন্ত্রাসীরা। অভিযোগটি ওঠে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চররোসুন্ধি গ্রামের হাজী আবুল হোসেন তালুকদার এর ছেলে নজরুল তালুকদার(৩৫), মৃত সবর আলী মাতবরের ছেলে আবুল খায়ের মাতবর(৪০), আ: রব তালুকদারের ছেলে শাহাদাত তালুকদার(২৮), ইউসুফ তালুকদারের ছেলে সবুজ তালুকদার(২৫), মৃত আ: আজিজ তালুকদারের ছেলে মিনহাজউদ্দিন তালুকদার(৬০), মৃত সেকান্দার তালুকদারের ছেলে সিরাজ তালুকদার(৪০) ও মিনহাজউদ্দিন তালুকদারের ছেলে মামুন তালুকদার(৩২)গংদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে চররোসুন্ধি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চররোসুন্ধি গ্রামের মো: মিজানুর রহমানের পিতা আব্দুল খালেক ঢালী(৭৫) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল খালেক ঢালীর ছেলে শাহিন ঢালী(২০)।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল খালেক ঢালীসহ ছেলে মো: মিজানুর রহমান ও শাহিন ঢালী চররোসুন্ধির সাকিনে নিজস্ব জমিতে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের জন্য গেলে চররোসুন্ধি গ্রামের হাজী আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে নজরুল তালুকদার উপরোক্ত কিছু উগ্র লোকজন নিয়ে মাটি ভরাটে বাঁধা দিয়ে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। বাঁধা দেওয়ায় ফলে তর্কাতর্কি হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে নজরুল তালুকদার ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় এলাকাবাসী ও তার পরিবার।
আব্দুল খালেক ঢালী বলেন, আমার ছেলেরা চররোসুন্ধির সাকিনে নিজস্ব জমিতে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের জন্য গেলে চররোসুন্ধি গ্রামের হাজী আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে নজরুল তালুকদারের লোকজন ২ লক্ষ টাকা দাবি করে আমাদের এলোপাথাড়ি মারপিট করে ও কুপিয়ে জখম করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এর বিচার চাই।
আব্দুল খালেক ঢালীর ছেলে মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের জমিতে আমরা ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করছি। নজরুল তালুকদার ও তার লোকজন ২ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে আমার বৃদ্ধ পিতা ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছোট ভাই শাহিন ঢালীকে মেরে ফেলার জন্য এলোপাথাড়ি মারধর ও মাথায় আঘাত করে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেছি যাতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর শাস্তি হতে পারে।
এ বিষয়ে নজরুল তালুকদার ও তার লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানা ওসি আসলামউদ্দিনকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রুদ্রকর ইউনিয়নে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্তের আলোকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।