
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে চরসেনসাস ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে জাকিয়া বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নারীর জমি দখল নিতে প্রভাবশালী লোকজন ওই জমিতে জোরপূর্বক দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ২৭ নভেম্বর দোকান ঘর তুলতে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন ভুক্তভোগীদের পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগও উঠেছে।
এ বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর মারধরকে কেন্দ্র করে জাকিয়া বেগম বাদী হয়ে, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবুল হোসেন বেপারী(৪৫), দেলোয়ার খান (৪০), রুহুল আমিন (৪০), দুলাল পাটোয়ারী (৩৫), ছামছল পাটোয়ারী (৩৮), তাজল বেপারী (৫০), মিজান গাজী (৪৫)-এর নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগী জাকিয়া বেগম জানান, তিনি নরসিংহপুর এলাকায় তার বাবার বাড়ীর ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া ১০ শতাংশ জমি তিনি নিজ নামে রেজিস্ট্রার করে ভোগদখল করে আসছেন। এ সময় তাদেরকে বাধা দিতে গেলে গেলে তার পরিবারের দুই সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে একই এলাকার আবুল হোসেন বেপারী, দেলোয়ার খান, রুহুল আমিন, দুলাল পাটোয়ারী, ছামছল পাটোয়ারী, তাজল বেপারী, মিজান গাজী। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
অভিযুক্ত দেলোয়ার খান বলেন, আমি দোকান কিনেছি ২ হাজার ১০ সালে তখন থেকে দোকান ভোগ করছি। কিন্তু তবে আমার সাথে চুক্তি ছিলো সরকার যদি রাস্তার জন্য জায়গা নিয়ে যায় আমাদের দলিলের জায়গা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।তাই আমরা আমাদের জায়গায় ঘর উঠাইছি। ও আমরা আমাদের দলিল দিয়ে সরকারি খাস জমির বিপক্ষে একটি মামলাও করি।
এ বিষয়ে চরসেনসাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বলেন, এ বিষয় উভয় পক্ষকে নিয়ে দরবার করেও সমাধান করতে পারিনি। তবে সেখানে ১০ শতাংশ জায়গা আছে পৈত্রিক জমি আছে। এর মধ্য পাঁচ শতাংশ জমি সরকারি (বিআরএস) খাস খতিয়ানে চলে গেছে।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী (ভূমি) বলেন, চরসেনসাস নরসিংহপুর এলাকায় বেশ কয়েটি দোকান সরকারি একর খাস জমিতে পড়েছে। আমি দোকান মালিকদের দ্রুত দোকান ঘর সড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি একর জায়গায় কোন ভাবেই স্থাপনা রাখা যাবে না। দোকানের পিছনের জায়গায় অস্থায়ী ঘরটিও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।