শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুর জমি জালিয়াতি’র অভিযোগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

শরীয়তপুর জমি জালিয়াতি’র অভিযোগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের বাসভবন জালিয়াতি করে দখল করার পায়তারা করার অপরাধে গ্রেফতার হলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালাম মাদবর। তারা সরকার বাহাদুর নামীয় সম্পত্তির জাল কাগজপত্র তৈরি করে পুলিশ সুপারের বাসভবন দখলের পায়তারা করছিল। এমন অভিযোগে জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।

জালিয়াত চক্রের প্রধান আসামী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালাম মাদবর। অভিযোগ রয়েছে তিনি ২৫ বছর ধরে একই পদে থেকে ক্রীড়া সংস্থার অর্থ আত্মসাৎ করাসহ জালিয়াত চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পালং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জুয়েল হোসেনের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে ১৭ ১৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

পালং থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা-যায়, সরকার বাহাদুর নামীয় শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৮১ নং উত্তর মধ্যপাড়া মৌজার এসএ-১ নং খাস খতিয়ানের ৯৬, ৯৭, ৯৯, ১০০, ১১১, ১১২, ১১৬, ১১৯, ১২৮, ১২৯, ১৩১ ও ১৩২ নং দাগভুক্ত ভূমির ২০৫ এবং ২০৬ নং খতিয়ান সৃজন করিয়া কথিত মথুরা মোহন সাহা গংদের নামে জাল মালিকানা সৃষ্টি করে স্বর্ণঘোষ গ্রামের মৃত আবুল হাসেম মাদবরের সন্তান সালাম মাদবর, আবুল বাসার মাদবর, আবুল কালাম আজাদ মাদবর, আবু আলম মাদবর, জাহাঙ্গীর মাদবর, শামসুন্নাহার বেগম, মাকসুদা বেগম, নুরুন্নাহার বেগম ও শাহনাজ বেগম। জালিয়াত চক্রটি জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করেও থেমে না থেকে বিভিন্ন আদালতের মাধ্যমে মামলা করে আদালতের রায়ও সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নামজারী করতে গিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধরণা ধরে। এক পর্যায়ে পুলিশ সুপারকেও ম্যানেজ করার জন্য পায়তারা চালায় এই চক্রটি। পুশিল সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সন থেকে এই বাড়িটি পুলিশ সুপারের বাস ভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। জালিয়াত চক্রটি ১৯৮৫ সনে ৮৫৫ নং দলিলের মাধ্যমে ভূয়া মালিকানা দাবী করে আসছে।

মামলার বাদী জুয়েল হোসেন বলেন, চক্রটি সরকার বাহাদুর নামীয় সম্পত্তির জাল কাগজপত্র সৃজন করে পুলিশ সুপারের বাসভবন দখলের পায়তারা করছিল। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি। জালিয়াত চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) সাইফুল আলম বলেন, মামলার ভিত্তিতে জালিয়াত চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই চক্রের অন্তরালেও যারা আছে তাদের খুজে বের করা হবে। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান বলেন, জমির ভূয়া কাগজপত্র সৃজন ও জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে পালং থানায় মামলা হয়েছে। ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


error: Content is protected !!