
শরীয়তপুরে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়। গেল বছরের ২৬ মার্চ থেকে পুরো জেলায় লকডাউন ঘোষণা হয়। দিনেদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে কোভিড টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই পর্যন্ত টিকা গ্রহনকারীদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষই এগিয়ে রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৬ হাজার কোভিড টিকা নিয়ে ৪০ উর্ধ্বো ব্যক্তিদের মাঝে গত ৭ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলার সকল উপজেলায় টিকাদান কর্মসূটি শুরু হয়। ৪৫ দিনে ৩৭ হাজার ৫৪৫ জন নারী-পুরুষ টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্য থেকে টিকা গ্রহণ করেছেন ২৮ হাজার ৬১৩ জন। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৫ হাজার ৬০৪ জনকে টিকা প্রদান করে কর্মসূচির শীর্ষে রয়েছে। ক্রমান্বয়ে জাজিরায় ৫ হাজার ৩৪৩ জন, সদরে ৫ হাজার ২৮৩ জন, গোসাইরহাটে ৪ হাজার ৫৮৩ জন, ভেদরগঞ্জে ৪ হাজার ৪৬১ জন ও ডামুড্যায় ৩ হাজার ৩২৯ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮০৬ জন ও নারী ১০ হাজার ৮০৫ জন।
এই পর্যন্ত জেলা থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জনের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৭৮১ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত রিপোর্টে কোভিড পজেটিভ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৯২৬ জনের মধ্যে। এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ হাজার ৮৭৮ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ১৫ জন, জাজিরায় ৪ জন, নড়িয়ায় ৩ জন, ভেদরগঞ্জে ২ জন ও ডামুড্যায় ১ জন। এই পর্যায়ে গোসাইরহাটে কোন কোভিড রোগী চিহ্নিত হয়নি। কোভিড আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত জেলায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।