
জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফয়জল হক ঢালী (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রামের রতন দেওয়ানের বাড়ির পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত ফয়জল হক ঢালী ওই গ্রামের মৃত হোচেন ঢালীর ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রামের আবেদালী মুন্সীর সঙ্গে ফয়জল হক ঢালীর দীর্ঘদিন জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর বিকেলে গ্রামের রতন দেওয়ানের বাড়ির পশ্চিম পাশে ফয়জল হক ঢালী তাঁর ফসলী জমি দেখতে যা। তখন পূর্বে ওঁৎ পেতে থাকা আবেদালী মুন্সী (৫০), সোহেল মুন্সী (৩০), সেলিম খান (৪২), মনির খান (৩৫) সহ ৪/৫ জন মিলে ফয়জল হক ঢালীকে ছেনদা দিয়ে মাথায়, পায়ে কুপিয়ে জখম করে এবং শরীরের বিভিন্ন যায়গায় লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়জলকে স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত ফয়জল হক ঢালীর ছেলে দবির ঢালী বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা করে আমার বাবাকে আবেদালী, সোহেল, সেলিম, মনিসহ ৪/৫ জন মিলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। বাবা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরছে। তাই বিচার পেতে শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেছি। আমি এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে, আসামী আবেদালী মুন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এঘটনায় অভিযোগ করতে থানায় কেউ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।