
বুধবার রাতে ঝড়ে শরীয়তপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে ১০টি বসত ঘর উড়ে গেছে। এ সময় নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে সড়কে পড়ে যোগাযোগ ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড দাসাত্তা ও বিলাশখান গ্রামে গতরাতে ঝড়ের বিলাশ খান গ্রামের আশ্রাফ আলী মাষ্টার, আশেদ আলী চৌকিদার, খোরশেদ আলী চৌকিদার, আলেক চান চৌকিদার, হারু চৌকিদার, সেলু চৌকিদার, ইদ্রিস চৌকিদার ও নুর হোসেনের বসত ঘর উড়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ঘরগুলো উড়িয়ে নিয়ে অনত্র কৃষি জমিতে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে আশ্রাফ আলী, খতেজা বেগম, নারগিস বেগম, আলেক চান চৌকিদার, ফরিদা বেগম ও রুবেল চৌকিদার আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টিতে ধান, সরিষা, ধনিয়া, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
বিলাশখান গ্রামের আশ্রাফ মাষ্টার বলেন, নামাজ পড়তেছি এমন সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হয়ে। প্রচন্ড বাতাসে চোখের সামেনে আমার বসত ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেল। এরপর ঘরে যা ছিল তছনছ হয়ে যায়। বিলাশখান গ্রামের পারুল বেগম বলেন, ঝড়ে আমাদের সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিস্তি থেকে টাকা এনে আমি ঘরটা দিয়েছিলাম।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব আলী বিশ্বাস বলেন, ঝড়ে তার ছিড়ে আমাদের লাইলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত আমরা লাইনের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে পেরেছি। কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি সন্ধ্যার মধ্যে শতভাগ বিদ্যুত সংযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, শরীয়তপুর শহরের দাসাত্তা ও বিলাশ খান গ্রামে ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে- খবর পেয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।