
বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন হয়েছে ১৯শে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে ৩১ জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত। এর আগে এত বেশি সংখ্যক শিশুকে একযোগে একটি কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হয়নি। এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী সকল শিশুকে এই টিকা দেয়া হবে। এ পর্যন্ত দেশের পাঁচ কোটি ২০ লাখ শিশুকে হাম ও রুবেলা টিকা দেওয়া হয়েছে।
হাম একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। যেকোনো বয়সে হাম হতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ, জটিলতা ও মৃত্যু বেশি। জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব, বধিরতা অন্যতম। অন্যদিকে রুবেলাও ভাইরাসজনিত রোগ। গর্ভধারণের তিন মাসের সময় রুবেলা ভাইরাস আক্রমণ করলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে মায়ের থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত; এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। শিশুর হূদ্যন্ত্রে ছিদ্র হতে পারে, শিশু অন্ধও হতে পারে। বাংলাদেশের জরিপ অনুযায়ী প্রতি ১০ লাখে দুই হাজার ৯৭৯ জন রুবেলায় আক্রান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০ এর কার্যক্রম চলমান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ জানুয়ারী ২০২১ পদ্মার নিকটবর্তী স্থানে জাজিরার বিলাশপুর ইউনিয়নের ০৩ টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকাদান কর্মসূচি চলতে থাকে।
বিলাশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং গ্রামের আরো দুইটি টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলমান থাকে। তিনটি কেন্দ্রে জুবাইদুর হামিদ (এ এস আই), তাহমিনা খানম (এ এস আই) এবং হামিদ হোসেন (এফ পি আই)সহ আরো স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকাদানের পাশাপাশি অনলাইন রিপোর্ট প্রেরণ কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে করতে দেখা যায়।